চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ শিক্ষার্থী আমরণ অনশনে

মোঃ সিরাজুল মনির চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান,
এবার আমরণ অনশনে বসেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৯ শিক্ষার্থী। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলমান থাকবে বলে জানিয়েছে তারা। ‘অধিকার সচেতন শিক্ষার্থী’র ব্যানারে সাত দফা দাবিতে এ আন্দোলন করা হচ্ছে। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১টা থেকে প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ, সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থীদের পূর্ণ তালিকা প্রকাশসহ সাত দফা দাবিতে প্রক্টর অফিসের সামনে এ অনশন শুরু হয়।
অনশনরত ৯ শিক্ষার্থী হলেন, বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ওমর সমুদ্র, সংগীত বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী ও বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি জশদ জাকির, স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী ও বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাংগঠনিক সম্পাদক রাম্রা সাইন মারমা, ইংরেজি বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী ও বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর রাজনৈতিক শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক আহমেদ মুগ্ধ, একই বিভাগের দপ্তর সম্পাদক নাইম শাহ জান, বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী ও গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সমন্বয়ক ধ্রুব বড়ুয়া, মার্কেটিং বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী ও নারী অঙ্গনের সংগঠক সুমাইয়া শিকদার, সংগীত বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী ও বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের সংগঠক ঈশা দে এবং বাংলা বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুদর্শন চাকমা।
তাদের বাকি ৫ দাবি হলো- নিরাপত্তাহীন অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য অবিলম্বে মানসম্মত ভ্রাম্যমাণ আবাসনের ব্যবস্থা কর এবং আবাসনচ্যুত শিক্ষার্থীদের মালামাল উদ্ধারে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ; উদ্ভূত পরিস্থিতিকে ঘিরে বিশেষভাবে চিহ্নিত শিক্ষার্থীদের সকলপ্রকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা এবং নিরাপরাধ এলাকাবাসীদের হয়রানি বন্ধ করা; বৈপরীত্যমূলক দ্বন্দ্ব-সংঘাত নিরসনে উভয়পক্ষের অন্তর্ভুক্তিমূলক সমন্বয় কমিটি গঠন করা এবং ন্যূনতম তিন মাস পরপর মিটিং করা ও সিন্ডিকেটকর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত এবং নিরাপদ ক্যাম্পাসের রোডম্যাপ প্রকাশ ও বাস্তবায়ন কর।
বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি জশদ জাকির বলেন, ‘আমরা টানা কয়েকদিন বিভিন্ন আন্দোলন করেছি। শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষ প্রশাসনের ব্যর্থতায় মূল কারণ। তাই প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগসহ বাকি দাবি না মানা পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবে। অনশনরত শিক্ষার্থীরা জানান যৌক্তিক দাবি নিয়ে আমরা আন্দোলন সংগ্রাম ও অনশনে যুক্ত হয়েছি তাই এগুলোর যথাযথ পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এ কার্যক্রমের পরিসমাপ্তি ঘটবে না।