| ৮ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনামঃ

চট্টগ্রামের সবজির বাজারে উত্তাপ ,মাছ মুরগির দাম বেড়েছে

চট্টগ্রামের সবজির বাজারে উত্তাপ ,মাছ মুরগির দাম বেড়েছে

মোঃ সিরাজুল মনির ,

চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান,

সাপ্তাহিক বন্ধের দিনে চাহিদা বেশি থাকার কারণে অন্যান্য দিনের তুলনায় আজকে চট্টগ্রামের কাঁচাবাজারগুলোতে সবজির দামে উত্তাপ ছড়িয়েছে। দাম বেড়েছে মাছ ও মুরগিতে।

চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন বাজার পরিদর্শনে দেখা যায় কাঁচা শাকসবজিতে প্রায় ১০ টাকা করে বেড়েছে প্রতি কেজিতে। সিম বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি টমেটো একশ ৪০ টাকা করলা ১০০ টাকা কাকরোল ১০০/১২০ টাকা বেগুন ৮০ টাকা ঝিঙ্গা ৭০/৮০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, লাউ প্রতি কেজি ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা, শসা ৭০ টাকা, কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা, ধনেপাতা ২০০ টাকা, চিচিঙ্গা৬০ টাকা, পেঁপে ৩০-৪০ টাকা, অন্যান্য সবজি অবস্থা বুঝে অতিরিক্ত মূল্য নিচ্ছে ব্যবসায়ীরা। নগরীতে এক বাজারের সাথে অন্য বাজারের মূল্যের কোন মিল নাই যেখানে যেমন ইচ্ছা পারতেছে অতিরিক্ত মূল্য নিচ্ছে একটা ক্রেতাদের কাছ থেকে। কোন বাজারে মনিটরিং ছেলের ব্যবস্থা না থাকায় অসাধু ব্যবসায়ীরা যেমন ইচ্ছা তেমন মূল্য নির্ধারণ করে। বাজারগুলোতে প্রায় সময় ক্রেতা বিক্রেতা ঝগড়া লেগেই থাকে মূল্য নিয়ে। বাজারে কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে অনৈতিকভাবে মূল্যবৃত্তি করে যাচ্ছে বলে ক্রেতা সাধারণের অভিযোগ। সাপ্তাহিক বন্ধের দিন হওয়ায় এই সুযোগকে আরও বেশি করে কাজে লাগিয়েছে ব্যবসায়ীরা। অতিরিক্ত চাহিদা থাকার কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণে সবজি থাকলেও অবৈধ মুনাফা লোভীরা যেমন ইচ্ছা তেমন দাম হাঁকাচ্ছে।

অপরদিকে দিনের ব্যবধানে মাছ মুরগির দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ১০/২০ টাকা। একদিন আগেও বয়লার মুরগির দাম কেজি ১৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল আজকে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭৫ টাকায়। মাছের বাজারে সাইজ এবং রকম বুঝে অতিরিক্ত মূল্য নিচ্ছে মাছ ব্যবসায়ীরা।

সাধারণ হতাশাগ্রস্ত হয়ে বলেন কোন বাজারে জেলা প্রশাসনের মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকার কারণে ব্যবসায়ীরা যেমন ইচ্ছা তেমন দাম বাড়িয়ে নিচ্ছে। কোন পণ্যের সংকট না থাকলেও অসাধু ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে দাম বাড়াচ্ছে প্রতিনিয়ত। বর্তমান অন্তবর্তী সরকারের সময়ে এসেও সিন্ডিকেট প্রথা চালু থাকার কারণে সাধারণ ক্রেতারা এদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। কেউ কোন জায়গায় প্রতিবাদ করে এর প্রতিকার পাচ্ছে না। এ বিষয়গুলো যেন দেখার কেউ নেই।

শ্রীপুরে নবগঠিত তেলিহাটি বিএনপি নেতা শাহজাহানকে ফুলেল শুভেচ্ছা

চট্টগ্রামের সবজির বাজারে উত্তাপ ,মাছ মুরগির দাম বেড়েছে

স্টাফ রিপোর্টার: এম দেলোয়ার হোসেন মৃধা

গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলায় নবগঠিত তেলিহাটি ইউনিয়ন বিএনপির ১নং যুগ্ম আহবায়ক জনাব শাহজাহান মোড়লকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়েছে। এ উপলক্ষে স্থানীয় নেতাকর্মীরা ফুলেল শুভেচ্ছায় তাকে বরণ করে নেন।

রবিবার (তারিখ) বিকেলে শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তায় মজনু ফকির সুপার মার্কেটে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের কার্যালয়ে এ আয়োজন হয়। অনুষ্ঠানে পৌর শ্রমিক দল নেতা মজনু ফকিরের নেতৃত্বে শ্রীপুর বিএনপি, তেলিহাটি ইউনিয়ন বিএনপি, পৌর শ্রমিক দলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

নবনিযুক্ত যুগ্ম আহবায়ক শাহজাহান মোড়লকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে উপস্থিত নেতাকর্মীরা সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে একযোগে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

সরেজমিন হালদা নদী পর্ব (১)

দেশের বৃহৎ রুই জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন কেন্দ্র হালদা

চট্টগ্রামের সবজির বাজারে উত্তাপ ,মাছ মুরগির দাম বেড়েছে

মোঃ সিরাজুল মনির,

চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান।

প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য্যরে লীলাভূমি চট্টগ্রাম। পাহাড়, সাগর ও নদীবেষ্টিত এ চট্টগ্রাম আরও সমৃদ্ধ হয়েছে হালদা নদীর অনন্য বৈশিষ্ট্যের গুণে। হালদা নদী বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রুই জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র। এটি পৃথিবীর একমাত্র জোয়ার-ভাটার নদী যেখান থেকে সরাসরি রুই জাতীয় মাছের নিষিক্ত ডিম সংগ্রহ করা হয়। পৃথিবীর আর কোন জোয়ার-ভাটার নদী থেকে সরাসরি ডিম আহরণের নজির আজ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। এ কারণে হালদা নদী বাংলাদেশের জন্য এক বৈশ্বিক উত্তরাধিকারও বটে। অথচ দেশের নদী সম্পর্কিত জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দলিল কিংবা ইতিহাসে এ নদীর নাম অনেকটা অনুচ্চারিত।

অপার জীববৈচিত্র্যময় ও মৎস্য সম্পদে ভরপুর এ নদী জাতীয় অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রেখে আসছে প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে। রুই জাতীয় মাছের (রুই, কাতলা, মৃগেল ও কালিবাউশ) পোনার জন্য এ নদীর আলাদা বৈশিষ্ট্য থাকলেও এটি যোগাযোগ, কৃষি ও পানি সম্পদেরও একটি বড় উৎস। প্রতিদিন প্রায় ২ কোটি গ্যালন পানি উত্তোলন করে চট্টগ্রাম ওয়াসা শহরের সূপেয় পানি সরবরাহ করে এ নদী থেকে। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ যে কয়েকটি প্রাকৃতিক সম্পদ বাংলাদেশে রয়েছে তার মধ্যে হালদা অন্যতম। আগে বাংলাদেশ ছাড়াও হালদার পোনা ভারত ও মিয়ানমারে রপ্তানী হতো। সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাব, বাঁক কাটা, মা-মাছ শিকার, নদী দূষণ, সরকারের উদসীনতাসহ মানবসৃষ্ট নানা কারণে প্রাকৃতিক এ মৎস্যভান্ডার এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছে। এর ফলে প্রতি বছর মা-মাছের ডিম ছাড়ার পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাচ্ছে।

হালদা নদীর উৎপত্তি:

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার রামগড় উপজেলার পাহাড়ী ক্রীক থেকে দেশের মৎস্য খনিখ্যাত হালদা নদীর উৎপত্তি। এই নদী চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি, রাউজান ও হাটহাজারী উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রায় ৯৮ কি.মি. (উৎস থেকে কালুরঘাট সরাসরি দূরত্ব প্রায় ৫৭ কি. মি.) পথ অতিক্রম করে চট্টগ্রাম শহরের কালুরঘাট নামক স্থানে কর্ণফুলী নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। ফটিকছড়ির উপর দিয়ে দেশের গর্ব এ নদীর অধিকাংশ পথ (৪০ কি.মি.) অতিক্রম করেছে। এ নদীর পানির প্রধান উৎস মূলত: ফটিকছড়ি উপজেলার অসংখ্য পাহাড়ী ছড়া। ছড়াগুলো নদীর মূল স্রোতের সঙ্গে মিলিত হয়ে হালদাকে বৈশিষ্ট্যময় নদী হিসেবে এখনো সমৃদ্ধ করে রেখেছে।

হালদা নদী গুরুত্বপূর্ণ কেন?

হালদা নদী বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রুই জাতীয় মাছের (রুই, কাতলা, মৃগেল এবং কালিগনি) প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র। এটিই দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র যেখান থেকে সরাসরি রুই জাতীয় মাছের নিষিক্ত ডিম সংগ্রহ করা হয়। বাংলাদেশের রুই জাতীয় মাছের একমাত্র বিশুদ্ধ প্রাকৃতিক জিন ব্যাংক। এই প্রাকৃতিক জিন পুল বাঁচিয়ে রাখার জন্য হালদা নদীর গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রগুলিতে ইনব্রিডিং-এর কারণে মাছের বৃদ্ধি মারাত্বক ভাবে ব্যহত হচ্ছে এবং বামনত্ব, বিকলাংঙ্গতাসহ বিভিন্ন ধরনের জিনগত সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে দ্রুত বর্ধনশীল বড় আকারের রুই, কাতলা, মৃগেল ও কালিগনি মাছ এক সময় রূপকথার গল্পের মত মনে হবে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য হালদা নদীর প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণের বিকল্প নেই। এজন্য বর্তমানে মৎস্যচাষী ও হ্যাচারি মালিকেরা রেণু পোনার জন্য আবার হালদার পোনার দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। হালদা একমাত্র নদী যেখান থেকে আহরিত ডিম স্মরণাতীত কাল থেকে স্থানীয় জ্ঞানের মাধ্যমে প্রাচীন পদ্ধতিতে নদীর পাড়ে খননকৃত মাটির গর্তে (কুয়ায়) ফোটানো হয় এবং চারদিন লালন করে রেণু পোনা (ঋরংয ঋৎু) তৈরি করা হয়। এ নদীর রুই জাতীয় মাছের বৃদ্ধির হার অন্যান্য উৎসের মাছের তুলনায় অনেক বেশি (যেমন কাতলা বৎসরে ২.০-২.৫ কেজি পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়)। এতে মৎস্যচাষী এবং হ্যাচারি মালিকেরা হালদা নদীর রুই জাতীয় মাছের চাষ কিংবা প্রজনন ঘটিয়ে বেশি লাভবান হতে পারে। ব্রিটিশ আমলে সারা দেশের ২/৩ অংশ পুকুরে মৎস্য চাষ তথা একোয়াকালচার হালদার পোনা দিয়েই করা হতো। এমনকি ভারত এবং মিয়ানমারেও হালদার পোনা চাষের জন্য নিয়ে যেত। বর্তমানেও পরিকল্পিতভাবে হালদা নদীর সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে এনে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা সম্ভব। বর্তমান বাংলাদেশের প্রায় ৮ শতাধিক কার্প হ্যাচারি (রেণুর চাহিদা ২ লক্ষ কেজি প্রায়) তথা বাংলাদেশের একোয়াকালচার এবং বায়োডাইভার্সিটি বাচিঁয়ে রাখার জন্য হালদার প্রাকৃতিক উৎসের গলদা চিংড়ি ও মেজর কার্পের পোনার গুরুত্ব অপরিসীম।

চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়ক,প্রতিদিন মৃত্যুর মিছিলে যোগ হচ্ছে নতুন নাম

চট্টগ্রামের সবজির বাজারে উত্তাপ ,মাছ মুরগির দাম বেড়েছে

 

মোঃ সিরাজুল মনির,

চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান

বেপরোয়া গাড়ি চলাচল এবং সড়ক পিচ্ছিল হওয়ার কারণে প্রায় প্রতিদিন দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে যানবাহন। নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়ক এখন যেন মৃত্যুর ফাঁদ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। সড়ক দুর্ঘটনার কারণে প্রতিদিন মৃত্যুর মিছিলে যুক্ত হয় নতুন নতুন নাম। এই মহাসড়কটি দুই লাইনের হওয়ায় যানবাহন চলাচলে বিপর্যয় ঘটে প্রতিনিয়ত। ড্রাইভাররা বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাই এবং পটিয়া থেকে চকরিয়া পর্যন্ত লবণ বালি বহনকারী ট্রাকগুলো চলাচলের কারণে সড়কে পিচ্ছিল অবস্থায় থাকে সবসময়। এতে কম গতির যানবাহন ও সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়।

কক্সবাজার এ ঘুরতে আসা পর্যটকরা বিভিন্ন সময় সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে পরিবারসহ নিহত হওয়ার খবর রয়েছে অনেক। এ মহাসড়কের কোথাও না কোথাও প্রায় প্রতিদিন দুর্ঘটনার খবর হতে হয় সাধারণ যাত্রীদের। কিছু কিছু জায়গায় সড়ক প্রশস্ত করলেও দুর্ঘটনা রোধ করা যাচ্ছে না। বিশেষজ্ঞদের মতে সড়ক পিচ্ছিল হয়ে থাকার কারণে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হয় যানবাহন গুলোর। প্রতিদিন কারো না কারো পরিবারে কান্নার আওয়াজ শুনতে হয় এই অঞ্চলের মানুষদের।

কক্সবাজার ভ্রমণ করতে আসা ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আহসানুল্লাহ জানায়, ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন চালু হওয়ার পর থেকে সাহস করে কক্সবাজার ঘুরতে আসি মহাসড়কের সড়ক দুর্ঘটনার খবর শুনে বাসে বা ব্যক্তিগত গাড়িতে কক্সবাজার আসা হয়নি। এ মহাসড়কের দুর্ঘটনার খবর প্রতিদিন মিডিয়ায় চেহারা দেখতে পাই এতে পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কিত হয়ে কক্সবাজার ভ্রমণে উৎসাহ হারাই। ট্রেন চলাচলের কারণে কিছুটা নিরাপদ অবস্থায় কক্সবাজারে যাতায়াত করা যাচ্ছে। এ মহাসড়কে দুর্ঘটনার বৃদ্ধির একমাত্র কারণ হচ্ছে সড়কগুলো পিচ্ছিল হয়ে থাকে প্রায় সারাদিন যার কারণে যানবাহন চলাচলে অসুবিধার সৃষ্টি হয় চালকদের একপর্যায়ে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়।

সড়ক ও জনপথ দোহাজারী অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, এ মহাসড়ক দিয়ে বালি এবং লবনের ট্রাক চলাচলে কিছুটা সীমাবদ্ধ করে দেয়া হলেও তা অমান্য করে চালকরা। ট্রাক থেকে পানি নিচে না পারার ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বললেও সে অনুযায়ী কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করার কারণে সড়কে পানি পড়ে পিচ্ছিল হয়ে যাওয়ার জন্য দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিনিয়ত।

নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি অনেক সংগঠন দাবি জানিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ এবং দুর্ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি সরকার। এভাবে এই মহাসড়কে দুর্ঘটনা ঘটতে থাকলে কক্সবাজারের সাথে সারা দেশের যোগাযোগ কমে আসবে এবং পর্যটন খাতে ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মতামত দিয়েছেন। অনেকের মতামত লবণ ও বালির ট্রাকগুলো চলাচলের ক্ষেত্রে মহাসড়কের পাশ দিয়ে আলাদা করে সড়ক নির্মাণ করলে দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে আসবে। মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় অনেকগুলো বাক থাকার কারণে এবং বাক গুলোতে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ না করার ফলে ও দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে বেশি। আগামীতে সড়ক প্রশস্ত করনের কাজ শুরু হলে বাঁকগুলোকে সোজা রাস্তায় পরিণত করা হবে। এতে দুর্ঘটনা কমে আসবে বলে মনে হয়।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান দুর্ঘটনা রোধ এবং কক্সবাজারে যানবাহন যাতায়াত বেড়ে যাওয়ায় এ মহাসড়কটি প্রশস্ত করণ প্রকল্প ইতিমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারিভাবে একটি সমীক্ষা পরিচালনা করা হয়েছে যা আগামী কিছুদিনের মধ্যে সড়ক প্রশস্ত করনের কাজ শুরু হতে পারে বলে কর্মকর্তারা বলেন।